নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না।
যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।
বইটি কাদের জন্য?এই বই তাদের জন্য যারা আমার কাছে ‘সাজিদ হতে চাই’ বলে বিভিন্ন সময়ে আবদার করেন। পরামর্শের আবদার, পথনির্দেশের আবদার। সাজিদ হতে হলে, আমি মনে করি, সবার আগে একটা অন্ধকার বৃত্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সাজিদ যেভাবে অন্ধকারের কৃষ্ণগহ্বর ছেড়ে, আলোর ফোয়ারাতে তার জীবন রাঙিয়েছে, সেরকম ঝলমলে আলোর মাঝে নিজেকে মেলে ধরাই ‘সাজিদ’ হবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত। কেবল ভারি ভারি বই আর যুক্তির পশরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার মধ্যেই ‘সাজিদ’ হয়ে উঠার সার্থকতা নেই। সাজিদ হয়ে উঠার সার্থকতা তখনই যখন সাজিদ যে আদর্শের আলো প্রাণে প্রাণে
ছড়িয়ে দিতে চায়, তা আমরা জীবনে মেখে নিতে পারবো।বইটি কাদের জন্য?ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের ‘বেলা ফুরাবার আগে’ টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা।
আরিফ আজাদ সুন্দর কিছু বই লিখেছেন তার মধ্যে বেলা ফুরাবার আগে অন্যতম। মৃত্যুর খুব সন্নিকটে থাকা সত্বেও আমরা যে পরকালের ভয় করি না এবং কি করা উচিত এসব গল্প আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কিভাবে ইসলামের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে এবং কিভাবে আবার ইসলামের পথে ফিরে আসতে পারব তা নিয়ে খুব সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। বইটি পড়তে গেলে মনে হবে সব কিছুই জানি, কিন্তু হয়তো মানা হয় না। হয়তো একটু চেষ্টা করলে আরো ভালো ভাবে মানতে পারি। আর তাই বইটি রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করবে।
যারা ইসলাম থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন, তাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন এবং ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে বইটি সাহায্য করবে। মৃত্যুর পূর্বেই কি কি কাজ দুনিয়া থেকে আমাদের করে যাওয়া উচিৎ তার কিছু পদ্ধতি উনি বইটিতে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন হাদিসের সূত্র এবং কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে আমাদের বুঝিয়েছেন ঠিক কোন কাজগুলো আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর। ইসলামের পথে চলতে গিয়ে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আর তা থেকে কিভাবে আমরা বের হয়ে আসতে পারি, এসব কিছু ছোট পরিসরে আলোচনা করেছেন।
মুসলিম হয়ে থাকলে বইটি পড়তে পারেন। নিয়মিত ইসলাম মেনে চললে একটা রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করবে। আর যদি ইসলামের সাথে দূরত্ব বাড়ে, তাহলে একটু হলেও সঠিক পথের সন্ধান দিবে।
বই: বেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদ
জীবনটা কেমন যেন, ঘড়ির কাটার সাথে সাথে ছন্দ মিলিয়ে টিকটিক শব্দে কেটে যায় একজীবনের রঙীন সব বসন্ত। সময়ের পথ-পরিক্রমায় বাঁধা আছে আমাদের জন্ম আর মৃত্যু। সেই জন্ম আর মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ের যে সমষ্টি, তার নামই জীবন! কিন্তু সেই জীবনটা বড্ড অদ্ভুতুড়ে! এই জীবনে আমাদের চোখ মেলে দেখা হয়না সুবহে সাদিকের প্রথম প্রহর। ভোরের পবিত্র হাওয়া গায়ে লাগিয়ে, জীবনের সমস্ত ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলে আমাদের ছুটে আসা হয়না মিনার থেকে ধেয়ে আসা আহ্বান পানে, যেখান থেকে ভেসে আসে কল্যাণের ডাক।
কোন এক অদ্ভুত কারণে, আমরা যেন ডুবে আছি অবাধ্যতার এক অতল গহ্বরে, যেখানে পৌঁছায়না আলো, ভোরের স্নিগ্ধ কিরণ যার নাগাল পায়না। তবে কি একটা জীবন ঠিক এভাবেই কেটে যাবে? অন্ধকারের করাল গ্রাসে, একটা জীবন কুরে কুরে হবে নিঃশেষ? জীবনের যে মহান উদ্দেশ্য, অনন্ত অবসরের জন্য যে মহা প্রস্তুতি নিতে আমাদের আগমন, জীবন কি সেই অধ্যায় থেকে বিচ্যুত হবে? জীবনের সঠিক গতিপথ ভুলে, একটা জীবন যে বিভ্রান্তিতে বিভোর হয়ে আছে, হৃদয়াকাশ থেকে বিভ্রান্তির সেই কালোমেঘ সরিয়ে, জীবনকে তার কক্ষপথে ফেরাতে লেখক আরিফ আজাদের এবারের নতুন এবং ভিন্নধর্মী প্রয়াসের নাম ‘বেলা ফুরাবার আগে’। ‘বেলা ফুরাবার আগে’-তে লেখক তার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে আমাদের জন্য এমনকিছু বিষয় তুলে এনেছেন, যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য।
DOWNLOAD NOW CLICK HERE
আমাদের ভুলে থাকা মন, ডুবে থাকা হৃদয় আর বুঁদ হয়ে থাকা অন্তরকে তিনি নতুন করে জাগানোর চেষ্টা করেছেন। হৃদয়ের কোণে, সম্ভাবনার যে সুপ্ত আগুন আমরা লুকিয়ে রাখি, সেই আগুনকে জ্বালানোর জন্যে ‘সলতে’ দরকার, আর সলতে সরবরাহের কাজটা লেখক আরিফ আজাদ যুতসইভাবে করার চেষ্টা করেছেন এই বইটিতে। বইটির মূল কেন্দ্রে আছে আমাদের যুবকশ্রেণী। তবে, লেখকের ভাষায়, বইটি একইসাথে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্যও। জীবনে বারংবার হতাশ হয়ে পড়া, আপতিত দুঃখ-কষ্টগুলোতে খেই হারিয়ে ফেলা, নিজের নফসের সাথে সংগ্রাম, কিংবা জীবনকে ঢেলে সাজানোর পদ্ধতি, এককথায় সমস্তকিছুর ‘বাণ্ডেল’ বলা যাবে এই বইটিকে।
0 Comments: