Title এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার
Publisher গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
Edition 6th Edition, 2021
Number of Pages 296
Language বাংলা
এরদোগানের জীবনী ও এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার pdf download
এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার pdf download লিংক নিচে দেওয়া হলো ।
এখানে এরদোগানের জীবনী কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে । এরদোগান পরিবার খুব সমৃদ্ধ ছিল না। তিনি যখন কলেজে পড়তেন, তিনি রাস্তায় সিমেন্ট (তুরস্কে বহুল ব্যবহৃত রুটি), জল এবং লেবু বিক্রি করতেন।
তিনি বিক্রয় থেকে যে অর্থ দিয়ে পরিবারকে সাহায্য করতেন, তিনিও এই অর্থটি তাঁর মনের কোণে কিছুটা সুপ্ত বাসনা তৈরি করতে ব্যবহার করেছিলেন। এক কিশোর একটি বই পড়ছে এবং নিজেকে তৈরি করছে। বিশ্ব নেতৃত্বের পক্ষে উপযুক্ত এমন একটি রাষ্ট্র তৈরি করা। কৈশোরে এবং যৌবনে, তিনি ৫২ বছর বয়সে পৌঁছেছিলেন এবং নিজেকে তুরস্কের ইতিহাসে একটি নতুন নায়ক হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন। বলা হয় যে এরদোগান অটোমান সুলতানাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের মিশনে ছিলেন।
এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার >>> Short PDF Free Download
তুরস্কে এরদোগান আলোচনা ও সমালোচিত হচ্ছে। তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বিস্ময় ও কৌতূহল রয়েছে।
১৭ কোটি মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ তার প্রতিও আগ্রহী। কীভাবে এরদোগান হয়ে গেলেন, কীভাবে তিনি অতল গহ্বরের কিনারায় দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন, তুরস্কের মানুষের চিন্তাভাবনা কীভাবে বদলেছিলেন - 'এরদোগান: দ্য চেঞ্জ মেকার' বইটিতে এই কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তরগুলির দিকে নজর রাখুন। '। ইনশাআল্লাহ, বইটি ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্যারিশমা নিয়ে চিন্তাভাবনার জন্য অনেক দরজা উন্মুক্ত করতে আসছে।
বইটি পড়ার পরে পাঠক অবশ্যই নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করে বাঁচতে আসবেন। হাফিজুর রহমান নামে এক তরুণ বাংলাদেশী রাষ্ট্রপতি এরদোগানের একটি দুর্দান্ত স্কেচ কলম এবং কালি আঁকেন।
এই বইটি সম্ভবত তৎকালীন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এরদোগান সম্পর্কে বাংলায় প্রথম এবং একমাত্র কাজ। এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার’ পিডিএফ বই এ যা থাকছে: এরদোগানের জীবনী আধুনিক তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাস মূল রাজনীতিতে এরদোয়ান ইস্তান্বুলের মেয়র এরদোয়ান কারাবরণ ও অনিশ্চিত গন্তব্যের জীবন ২০০২ সালের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান ও নতুন তুরস্ক পার্টির সামনে বড় বড় পরীক্ষাগুলো প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ১৫ জুলাইয়ের ক্যু; নতুন তুরস্কে গণতন্ত্রের জয় এরদোয়ান ও বিশ্ব রাজনীতি এরদোয়ানের নেতৃত্বের গুণাবলী উপরের বিষয়গুলি নিয়ে সাজানো হয়েছে 'এরদোগান: দ্য চেঞ্জ মেকার' বইটি।
আশা করি, নব্য-অটোমান রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান সম্পর্কে বিশদ জানতে এই বইটি চূড়ান্ত সহায়ক হবে। বইটি নব্য-অটোমানের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জীবনী সম্পর্কে তুরস্কের গাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মুহতারাম হাফিজুর রহমান লিখেছেন।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সংক্ষিপ্ত জীবনী :
Read More
হাফিজুর রহমান (পিএইচডি)
বাংলাদেশী যুবক হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে পাড়ি জমাতে হয় তুরস্কে।
তুরস্কের আঙ্কারা অঞ্চলের গাজি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি প্রোগ্রামে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ‘আধুনিক যুগে রাষ্ট্র ধারণা এবং ইসলামি রাজনীতি’ বিষয় নিয়ে তাকে গবেষণাপত্রটি তৈরি করতে হয়েছিলো। সুতরাং হাফিজুর রহমানের আগ্রহের মূলবিন্দুতে যে বিশ্বরাজনীতি একটি বিশাল জায়গা দখল করে আছে তা সহজেই বোঝা যায়।
তাই তার প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থটিও যে বিশ্বরাজনীতির কোনো তুখড় দিকনির্ধারণকারীকে নিয়ে হবে তা বোধগম্য। হাফিজুর রহমান (পিএইচডি) এর বই সমূহ মূলত তার তুরস্কে অবস্থানকালীন আহরিত জ্ঞান দ্বারা অণুপ্রাণিত।
বিশেষত, তার প্রথম লেখাটিকে প্রভাবিত করেছিলো একটি সম্মেলন। তুরস্কে পৌঁছানোর এক মাসের মাঝে তুরস্কের নেতা এরদয়ানের একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি, যেখানে শত শত তরুণের সাথে হাফিজ নিজেও এরদোয়ানের বলশালী বক্তব্য শুনে মুগ্ধ এবং পরবর্তীতে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, হাফিজুর রহমান যে সময়ে তুরস্কে অবস্থান করছিলেন তখন তুরস্ক এরদোয়ানের নেতৃত্বে দিন দিন উন্নতির চূড়ায় পৌঁছাচ্ছিলো। তাই ২০১৬ সালের মে মাস থেকে টানা ২০ মাস হাফিজুর রহমান এরদোয়ানকে নিয়ে বিশ্লেষণ করে যান। অতঃপর ২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় বাংলা ভাষায় লেখা এরদোয়ানের জীবনী।
হাফিজুর রহমান (পিএইচডি) এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘এরদোয়ান: দ্য চেঞ্জমেকার’ ও ‘আমার দেখা তুরস্ক: বিশ্বব্যবস্থার নতুন শক্তি তুর্কি জাতির ভেতর-বাহির’।
ঢাকা: এবারের একুশে বইমেলায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জীবনী নিয়ে লেখা তরুণ লেখক হাফিজুর রহমানের বই `এরদোয়ান দ্যা চেঞ্জ মেকার` প্রকাশিত হয়। অবাক করা বিষয় হলো বাংলা অক্ষরে লেখা সেই বইটি চলে গেছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হাতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গতকাল হাফিজুরের হাত থেকে বইটি গ্রহণ করেছেন। সেই দৃশ্য প্রচারিত হয়ে তুরস্কের অনেকগুলো টেলিভিশনে। গাজীপুরের এই তরুণকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে আলোচনা। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, একে পার্টির সিনিয়র নেতারা এবং সব এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। হাফিজুর রহমান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু এই অসাধ্য কাজ একক প্রচেষ্টায় কীভাবে করলেন হাফিজুর? সেই প্রশ্ন যখন সবার মুখে তখন হাফিজুর নিজেই জানালেন দীর্ঘ এই গল্পটা। হাফিজুর বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, যে মহান নেতাকে নিয়ে বইটি লেখা রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ানের হাতে বইটি তুলে দিচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্তু ছিল সেটি। আপনাদের সালাম ও ভালোবাসা পৌঁছে দিয়েছি। উনি অনেক খুশি হয়েছেন, ধন্যবাদ দিয়েছেন এবং আপনাদেরকে ভালোবাসা ও সালাম পৌঁছাতে বলেছেন। বইটি প্রকাশের পর বাংলাদেশি পাঠকদের আগ্রহ, আবেগ ও ভালোবাসা যতটুকু পেয়েছি সম্ভবত তার চেয়ে কোনও অংশেই কম ছিল না তুর্কিদের। যিনিই বইটি সম্পর্কে জেনেছেন তিনিই এতো বেশি খুশি হয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যেগুলোর বিস্তারিত লিখতে গেলে এই লেখা শেষ হবে না তাই পরবর্তীতে লিখবো। বই প্রকাশ হওয়ার পর সম্ভবত সবচেয়ে খুশি হয়েছিলেন তুরস্কের অন্যতম সিভিল সোসাইটি সংগঠন ইয়েনি দুনিয়া ভাকফির চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মাহমুদ গুকসু এবং আনকারা শাখার সভাপতি আলি তকুয কেননা আমি এই সংগঠনের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের সভাপতির দায়িত্বে আছি। তিনি বলেন, বই হাতে পাওয়ার পর আলি তকুয সাহেব এতটাই আপ্লুত ছিলেন যে, উনি পারলে সেদিনই প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিবেন! আমার অনেক আগে থেকেই একটি স্বপ্ন ছিল এরদোয়ানের জন্মদিন ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি, সেদিন ছোট্ট একটি উপহার হিসেবে হাতে তুলে দিবো। যদিও শুরু থেকেই একটা শঙ্কা ছিল, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মতো একজন মহান ও ব্যস্ত মানুষের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া কি আমার মতো একজন ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে? যাই হোকে, প্রেসিডেন্টের আফ্রিকা সফর থাকায় ২৬ ফেব্রুয়ারি তা আর সম্ভব হয়নি। এরপর অপেক্ষার পালা। মাহমুদ গুকসু সাহেব আর আলি তকুয সাহেব এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার বললেন যে, আগামী মঙ্গলবার হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। দেখা যাক। কিন্তু ওনাদের কথায় আমি খুব বেশি আশ্বস্ত হতে পারিনি। এর মাঝে শনি ও রোববার সরকারি ছুটি। তাই কাজ এগোয়নি। যদিও মাহমুদ সাহেব বলছিলেন আমি কথা বলে রেখেছি, সোমবারে সব ফাইনাল করবো হয়তো। সোমবার সকালে তুরস্কের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদপত্র সাবাহ পত্রিকার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ ছিল। সকাল ১১টায় বই নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনেক কথা বললাম সেই ইন্টারভিউতে। এরপর আরেকটি এপয়েন্টমেন্ট ছিল চাঁদের দূতাবাসে, ইয়েনি দুনিয়া ভাকফির পক্ষ থেকে মতবিনিময়। চাঁদ দূতাবাসে চমৎকার একটি সেশন শেষে উপরোক্ত দুজন, আরেকজন সাবেক এমপির সঙ্গে সংসদ ভবনের দিকে রওয়ানা দিলাম। সংসদ ভবনে গিয়ে সরাসরি একে পার্টির সংসদীয় দলের উপনেতার রুমে গেলাম। হাফিজুর বলেন, তখন একে পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপ পরিচালনা কমিটির মিটিং চলছিল যেখানে মঙ্গলবারের মিটিংয়ের এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মিটিং শেষ হয়। মাহমুদ সাহেব উপনেতার কাছে বইটি দিয়ে আগামীকালের অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়ার কথা বললেন। উপনেতা জানালেন, অধিবেশনের এজেন্ডার খসড়াগুলো আমরা তৈরি করি কিন্তু অনুমোদন করে দলের প্রেসিডিয়াম বডি। কিছুক্ষণ পরেই সেই মিটিং শুরু হবে, আমি সেখানে পেশ করবো, পাশ হলে আপনাদের জানাবো, আপনারা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে উনাদের সঙ্গে বন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলাম, সেখানে প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাকে বই গিফট করলাম। কিন্তু আমার পুরো মনোযোগ সংসদ ভবনের আপডেটের দিকে। সন্ধ্যায় উনারা আমাকে আমার বাসায় যাওয়ার স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে উনাদের কাজ কনটিনিউ করলেন। আমি হাতে থাকা সামান্য কাজ শেষ করে মাগরিবের নামাযের জন্য মসজিদে ঢুকবো এমন সময় মাহমুদ সাহেবের ফোন!খুশি মনে রিসিভ করলাম। কিন্তু না, এখনো শিউর না। বই নিয়ে তুর্কি ভাষায় ছোট্ট সামারি করে পাঠাতে বললেন। পাঠিয়ে নামায শেষে বাসে উঠলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাফিজুর উল্লেখ করেন, আমার বাসা আনকারার (আঙ্কারা) এক প্রান্তে তাই মোটামুটি ঘণ্টাখানেক সময় লাগে সেন্টারে আসতে। বাসে উঠলে এমনিতেই পথ শেষ হতে চায় না। কিন্ত সেদিন পথিমধ্যে নামতে হলো, যেখানে এক বন্ধুর সাথে চা পানে শরিক হলাম। এমন সময় মাহমুদ সাহেবের পরবর্তী ফোন, এবার শিউর্। আগামীকাল সকাল ৮.৩০ টায় একসঙ্গে হবো এরপর রওয়ানা দিবো। আমি আলহামদুলিল্লাহ পড়লাম। উনি আরও বললেন, সঙ্গে সর্বোচ্চ ১০ জন যাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে আমরা পাঁচজন মুরুব্বী যাবো আর তুমি, তোমার সহকর্মীদের মধ্য থেকে মোট পাঁচজন ঠিক করো। কিছুটা বেকায়দায় পড়ে গেলাম । কাকে রেখে কাকে নিবো! সবাইতো প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ, তাও এতো কাছ থেকে দেখার সুযোগ। অবশেষে ইয়েনি দুনিয়া ভাকফিতে দায়িত্ব পালন করা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশ থেকে চারজন প্রিয় সহকর্মীকে ঠিক করলাম। অবর্ণনীয় অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বন্ধুর সঙ্গে চা পর্ব শেষে বাসে উঠলাম কিন্তু পথ আর শেষ হয় না, কেমন যেন এক ফিলিংস। বাসায় পৌঁছলাম। আমার মেয়েটা দুদিন ধরে অসুস্ত। তার সঙ্গে ও পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় দিলাম। এরপর ঘুমাতে গেলাম কিন্তু রাতে ঠিকমতো ঘুম হলো না। কিছুক্ষণ পরপর জেগে যাই! সেই এক অপেক্ষা! ইয়েনি দুনিয়া ভাকফিতে সকালে একত্রিত হয়ে কিছু কাজ শেষে সাড়ে নয়টার দিকে রওয়ানা দিলাম। দশটার দিকে সংসদ ভবনে পৌঁছলাম। প্রয়োজনীয় প্রোটেকলের কাজ শেষ করে অধিবেশন রুমে গেলাম। ততক্ষণে কানায় কানায় পূর্ণ অধিবেশন কক্ষ বিশেষ করে ভিজিটরস গ্যালারি, তিল ধরার ঠাই নেই। কোনওমতে জায়গা পেলাম। ভিজিটরস গ্যালারির স্টেজের কোণের গেটের কাছে অবস্থান নিয়ে এবার ফাইনাল অপেক্ষা শুরু। একে একে এমপিরা, মন্ত্রীরা আসলেন। সবাই প্রেসিডেন্টের আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উল্লেখ করে হাফিজুর বলেন, এরদোয়ান, সকাল সাড়ে এগারটার দিকে অধিবেশন কক্ষে ঢুকলেন। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদিরিম। স্পিকার গ্রুপ মিটিং শুরু করলেন। তিনি বলেন, বক্তব্য চলা অবস্থায় প্রেসিডেন্টের প্রটোকল অফিসাররা বারবার এসে খবর নিয়ে যাচ্ছেন। অনুরোধ করছেন যেন বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই স্টেজের কাছাকাছি চলে আসি। গ্রুপ স্পিকারের টেবিলে এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার বইটি দেখতে পেলাম। সব মিলে নিজের মধ্যে খুবই এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। টান টান এক উত্তেজনা। সাড়ে বারোটার দিকে প্রেসিডেন্ট বক্তব্য শেষ করলেন আর ততক্ষণে প্রটোকল অফিসার আমাদেরকে স্টেজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। বক্তব্য শেষে ধন্যবাদ দিয়েই স্পিকার আমাদের স্টেজে ডাকলেন। প্রেসিডেন্ট স্পিকারের এনাউন্সমেন্ট শুনে আমার দিকে তাকালেন। আমি এগিয়ে গেলাম। উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর কোলাকুলি করলেন। একে একে সঙ্গে থাকা সহকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিলাম-নিজেরা পরিচিত হলেন। এদিকে মিডিয়ার ক্যামেরাগুলো আমাদের দিকে তাক করে আছে, সব টিভিতে লাইভ চলছে। প্রেসিডেন্টের হাতে বইটি তুলে দিলাম। আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষ হলো। উনাকে ধন্যবাদ দিলাম। এরপর বইয়ের ভেতরে কি আছে তার কিছুটা বর্ণনা করলাম। বই লিখার কারণ বর্ণনা করলাম যে, প্রেসিডেন্ট আপনি প্রায়ই বলেন ভালোবাসা একপক্ষ থেকে নয় বরং দুপক্ষ থেকে হতে হয়। আপনি আজকে মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসেবে মজলুমদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিন, আরাকানসহ সব মজলুমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন, সবাইকে ভালোবাসছেন। আর তাই আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট এই ভালোবাসা। এরদোয়ানের সঙ্গে কথাবার্তা প্রসঙ্গে বলেন, উনি অনেক খুশি হলেন। ধন্যবাদ জানালেন, অভিনন্দন জানালেন। বললেন, তোমাকে আমি অনুরোধ করছি যতদ্রুত সম্ভব এটার তুর্কি ভার্সন করবা (যাতে আমরা পড়তে পারি), এরপর পারলে আরবি ও ইংরেজিতে অনুবাদ করবা। এরপর আমি বইটা বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় হয়েছে তা তুলে ধরে পাঠকদের ভালোবাসা ও সালামগুলো পৌঁছালাম। উনি সালাম গ্রহণ করে সবাইকে সালাম জানালেন। পরিবারের খোঁজখবর নিলেন। আমার ওয়াইফও তুরস্কে সেটা জেনে আরও খুশি হলেন। দোয়া করলেন। এরপর বললাম আপনার সঙ্গে সিঙ্গেল ছবি তুলতে পারলে খুশি হবো। উনি সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হলেন। এতক্ষণে বই উনার পিএস সেখান থেকে তুলে নিয়েছেন। আমি আর বই খুঁজে পাচ্ছি না। বই খুঁজতেছি এদিকে দেখি উনি হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। নিজেকে অপরাধী মনে হলো। সামলে নিয়ে দ্রুত হাত মিলালাম, কতক্ষণ ক্যামেরাগুলো ক্লিক করলো। ইতিমধ্যে বই হাতে চলে আসলো, এরপর বই নিয়ে আবার ক্লিক। হাফিজুর বলেন, সবশেষে আমরা উনাকে এই বিশাল সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম।
OUR FACEBOOK GROUP LINK click here
Groups | Facebook
OUR FACEBOOK PAGE LINK click here
Pages | Facebook
নিচে এই বই টির ডাউনলোড করার দুইটি লিঙ্ক আছে এবং প্রিভিউ লিঙ্ক ও আছে
কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবেন নিচে আমার ফেসবুক আইডি এর লিঙ্ক দেওয়া আছে.. যদি কোনো ভুল হয় ভুলের জন্য ক্ষমা করবেন
0 Comments: