এরদোয়ান দ্যা চেঞ্জ মেকার বই এর  পিডি এফ শর্ট ভার্সণ PDF Short Version

এরদোয়ান দ্যা চেঞ্জ মেকার বই এর পিডি এফ শর্ট ভার্সণ PDF Short Version

 


 Title এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার 

 Publisher গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস

 Edition 6th Edition, 2021

 Number of Pages 296 

 Language বাংলা



এরদোগানের জীবনী ও এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার pdf download


 এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার pdf download লিংক নিচে দেওয়া হলো ।

 এখানে এরদোগানের জীবনী কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে ।  এরদোগান পরিবার খুব সমৃদ্ধ ছিল না। তিনি যখন কলেজে পড়তেন, তিনি রাস্তায় সিমেন্ট (তুরস্কে বহুল ব্যবহৃত রুটি), জল এবং লেবু বিক্রি করতেন।

 তিনি বিক্রয় থেকে যে অর্থ দিয়ে পরিবারকে সাহায্য করতেন, তিনিও এই অর্থটি তাঁর মনের কোণে কিছুটা সুপ্ত বাসনা তৈরি করতে ব্যবহার করেছিলেন। এক কিশোর একটি বই পড়ছে এবং নিজেকে তৈরি করছে। বিশ্ব নেতৃত্বের পক্ষে উপযুক্ত এমন একটি রাষ্ট্র তৈরি করা। কৈশোরে এবং যৌবনে, তিনি ৫২ বছর বয়সে পৌঁছেছিলেন এবং নিজেকে তুরস্কের ইতিহাসে একটি নতুন নায়ক হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন। বলা হয় যে এরদোগান অটোমান সুলতানাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের মিশনে ছিলেন। 

এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার >>>  Short  PDF  Free Download

 তুরস্কে এরদোগান আলোচনা ও সমালোচিত হচ্ছে। তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বিস্ময় ও কৌতূহল রয়েছে।

 ১৭ কোটি মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ তার প্রতিও আগ্রহী। কীভাবে এরদোগান হয়ে গেলেন, কীভাবে তিনি অতল গহ্বরের কিনারায় দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন, তুরস্কের মানুষের চিন্তাভাবনা কীভাবে বদলেছিলেন - 'এরদোগান: দ্য চেঞ্জ মেকার' বইটিতে এই কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তরগুলির দিকে নজর রাখুন। '। ইনশাআল্লাহ, বইটি ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্যারিশমা নিয়ে চিন্তাভাবনার জন্য অনেক দরজা উন্মুক্ত করতে আসছে। 

বইটি পড়ার পরে পাঠক অবশ্যই নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করে বাঁচতে আসবেন। হাফিজুর রহমান নামে এক তরুণ বাংলাদেশী রাষ্ট্রপতি এরদোগানের একটি দুর্দান্ত স্কেচ কলম এবং কালি আঁকেন। 

এই বইটি সম্ভবত তৎকালীন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এরদোগান সম্পর্কে বাংলায় প্রথম এবং একমাত্র কাজ। এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার’ পিডিএফ বই এ যা থাকছে: এরদোগানের জীবনী আধুনিক তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাস মূল রাজনীতিতে এরদোয়ান ইস্তান্বুলের মেয়র এরদোয়ান কারাবরণ ও অনিশ্চিত গন্তব্যের জীবন ২০০২ সালের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান ও নতুন তুরস্ক পার্টির সামনে বড় বড় পরীক্ষাগুলো প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ১৫ জুলাইয়ের ক্যু; নতুন তুরস্কে গণতন্ত্রের জয় এরদোয়ান ও বিশ্ব রাজনীতি এরদোয়ানের নেতৃত্বের ‍গুণাবলী উপরের বিষয়গুলি নিয়ে সাজানো হয়েছে 'এরদোগান: দ্য চেঞ্জ মেকার' বইটি।

 আশা করি, নব্য-অটোমান রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান সম্পর্কে বিশদ জানতে এই বইটি চূড়ান্ত সহায়ক হবে। বইটি নব্য-অটোমানের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জীবনী সম্পর্কে তুরস্কের গাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মুহতারাম হাফিজুর রহমান লিখেছেন।


রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সংক্ষিপ্ত জীবনী :


 . তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাহসী এক পুরুষ রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এর জীবনী সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।নিজ দেশে তিনি কট্টর ইসলামপন্থী বলে পরিচিত।ক্ষমতায় এসে তিনি বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী আইন সংবিধান থেকে তুলে দেন,যার জন্য বিরোধীরা তার প্রচুর সমালোচনা করে।তাঁর শিশুকাল,যৌবনকাল,রাজনৈতিক জীবন থেকে বর্তমান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট -জীবন পর্যন্ত,চমৎকার এক অধ্যায়।সেই ছোট বেলা থেকে শত সংগ্রাম বাধা-বিপত্তি এবং প্রতিরোধ অতিক্রম করে আজকে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। আসুন জেনে নিই,কেমন ছিল তার সংগ্রামী -জীবন।

 ★জন্ম,শিশুকাল,শিক্ষাজীবণঃ রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইস্তাম্বুলে 'জুরজু' বংশে জন্মগ্রহণ করেণ।তাঁর শিশুকাল কেটেছে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে।তের বছর বয়সে আবার ইস্তাম্বুল চলে আসেন।এরদোগানের পরিবার ছিল দারিদ্র-অসহায়।তাঁর প্রতিপালনও হয়েছে গরিব পরিবারে। 
এক মাদরাসা কর্তৃক আয়োজিত তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন - "যখন বাল্যকালে আমি মাদ্রাসাতে পড়তে যেতাম, তখন আমার এলাকার কিছু মানুষ আমাকে বলতেন- "বেটা! কেন তোমার ভবিষ্যত খারাপ করছো? তুমি কি বড়ো হয়ে মুর্দা (মৃতদেহ) নাহলানোর (গোসল করিয়ে পাক করে দেওয়া) কাজ করবে? 
মাদ্রাসার ছাত্রদের গোসল করানো ছাড়া আর কি কোনো কাজ জোটে? তাই বলছি কোনো ভালো স্কুলে ভর্তি হয়ে যাও আর নিজের ভবিষ্যত তৈরী করার চিন্তা ভাবনা করো।" আমাকে এই প্রকার যারা উপদেশ দিতে তারা বেশীর ভাগই বয়স্ক-বৃদ্ধ হতেন। তাই আমি তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বগলে বই দাবিয়ে "মাদ্রাসা ইমাদুল খতিব" -এর পথে হাঁটা দিতাম। এরদোগান বলেন - উনার পিতা একজন ফল বিক্রেতা ছিলেন। তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। কোনো কোনো দিন 'তরকারীর' পরিবর্তে 'তরমুজ' দিয়ে রুটি খেতে হতো। বাবা-মায়ের দ্বীন-ইসলামের প্রতি টান ছিলো। তাই উনারা আমাকে 'কোরআন' হাফেজ করার জন্য মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। আর সময় গতির সঙ্গে দৌড়াতে থাকলো আর আমি ইস্তানবুলের মাদ্রাসা থেকে ১৯৭৩ সালে নিজের পড়া শেষ করলাম।
 'কোরআন' পড়ার সাথে হেফজও শেষ করলাম। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়লাম। আমি তুর্কির প্রসিদ্ধ "মারমারাহ ইউনির্ভাসিটি" তে ভর্তি হলাম। সেখান থেকে আমি 'অর্থশাস্ত্র এবং প্রশাসনিক বিজ্ঞানে' মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করলাম। কিন্তু প্রাসঙ্গিক শিক্ষা মাদরাসা থেকেই অর্জন করেছি।" 

★রাজনৈতিক ক্যারিয়ারঃ 

সত্তর দশকে এরদুগান, নাজিমুদ্দিন আরবেকানের নেতৃত্বে "হিজবুল খালাসিল ওয়াতানি" দলে যোগ দেন।কিন্তু ১৯৮০সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।১৯৮৩ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে,এরদোগান "হিজবু রাফাহ"এ যোগ দেন। ১৯৯৪সালে "হিজবুর রাফাহ"র পক্ষ থেকে ইস্তাম্বুলের মেয়র পার্থী হিসেবে মনোনিত হন। এবং বিজয়ও লাভ করেন।ইস্তাম্বুল ের মেয়র হন। ১৯৯৮ সালে ধর্মীয় উগ্রতার(!) অভিযোগে তাঁকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।এমনকি,এক রাজনৈতিক সমাবেশে কিছু ইসলামি কবিতা পাঠ করার কারণে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। তুর্কি ভাষায় কবিতাগুলোর এরকম(তরজমা), ‘মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট, গম্বুজ আমাদের হেলমেট, মিনার আমাদের বেয়নেট, মুসল্লিরা আমাদের সৈনিক এবং এই পবিত্র দল পাহারা দিবে আমাদের দীনকে" ( এই কবিতার মধ্যে ধর্মীয় উসকানির গন্ধ পায় সেক্যুলার শাসকরা।)


 ★তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হওয়াঃ ১৯৯৪সালে বিপুল ভোটে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন এরদোগান। সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি দেড় কোটি লোকের এ শহরটির ট্রাফিক জাম এবং বায়ু দূষণ রোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।এ ছাড়া ইস্তাম্বুলের অনেক উন্নতি সাধন করেন। ২০০২সালে আব্দুল্লাহ গুলের নেতৃত্বে এরদুগানের (এ কে পি পার্টি) বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। (জনপ্রিয়তায়) পরপর (২০০৭, ২০১১,২০১৪) সাংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এরদোগান তুরস্কের সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ সব খাতে ঐতিহাসিক উন্নয়ন করেন।সেই সাথে বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্কও জোরদারভাবে করেন। বিশেষ করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে (ভিসা,সীমান্ত ইত্যাদি বিষয়ে) শিথিল করেন। গাজায় ত্রান পাঠানোঃ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গাজায় নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য অনেক সাহায্য করেন।ইসরাইল-আমেরিকার শত বাধা এবং চোখ রাঙ্গানী সত্বেও তিনি গাজার মজলুম মুসলমানদের পাশে ছিলেন।ইসরাইলের সাথে সব সম্পর্কও ছিন্ন করেন।(কয়েক বছর আগে গাজা অভিমুখী তুরস্কের ত্রানবাহী জাহাজে ইসরাইলী সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে)পরে অবশ্য কিছু শর্তে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেন।মিসরের স্বৈরচারী অবৈধ সেনা শাসনেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি।


 ★বাদশাহ ফায়সাল পুরষ্কার লাভঃ (মালিক ফায়সাল পুরস্কার। নোবেলের মত আন্তর্জাতিক একটি পুরষ্কার। যা সৌদি থেকে বিশ্বের ভিবিন্ন মুসলিম মনীষী কে দেয়া হয়,ইসলাম এবং মানবতার প্রতি অবদান রাখার জন্য) তুরস্কে ইসলাম এবং মুসলমানের জন্য অবদান রাখার কারণে,২০১০ ইং,১৪৩০ হিজীরী তে "বাদশাহ ফায়সাল পুরস্কার কমিটি "র পক্ষ থেকে এরদুগান কে সেই পুরষ্কার দেয়া হয়।সেই সাথে ১৪৩১/৩/২৩ তারিখে "উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি "র পক্ষ থেকে তাকে 'ডক্টরেট ' ডিগ্রী প্রদান করা হয়।


 ★প্রেসিডেন্ট হওয়াঃ ২০১৪সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।বর্তমানে তিনি আধুনিক তুরষ্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। (যদিও কামাল আততুরকের সেক্যুলার বাহিনী /পাবলিক অনেক অপচেষ্টায় আছে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য।) ইসলাম এবং মুসলমানকে নিয়ে তাঁর সাহসী বক্তব্যে তিনি অনেক আলোচিত।


 ★সেনাঅঅভ্যুত্থান নিয়ন্ত্রনঃ যখন প্রথম তুরস্কে অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন কয়েক ঘণ্টা ধরে দেশটির নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী সেনাদের হাতে বলেই মনে হচ্ছিল। রাজধানী আঙ্কারা আর সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলের প্রধান স্থাপনাগুলোতে ছিল তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দখল করে নেয় সেনাবাহিনী এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। এত ঘটনার মধ্যে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের। অভ্যুত্থানকারীদের সেই মুহূর্তে দরকার ছিল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশের এবং জনগণের সমর্থন। কিন্তু অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলডিরিম তা প্রতিরোধের চেষ্টা শুরু করেছেন। তবে তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ জানে, প্রকৃত ক্ষমতা আসলে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের হাতে, এবং কিছু করতে হলে তাকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। অভ্যুত্থান সফল হতে হলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। যেভাবে পরিস্থিতি পাল্টে গেল শুরুতে বোঝা যাচ্ছিল না প্রেসিডেন্ট এরদোগান কোথায় আছেন। কোনো কোনো খবরে বলা হচ্ছিল তিনি তুরস্কের একেবারে দক্ষিণ-পশ্চিমে এজিয়ান সাগর তীরের অবকাশ কেন্দ্র মারমারিসে আছেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে দেখা গেল সিএনএন এর তুর্কী ভাষার নিউজ চ্যানেলে। মোবাইল ফোনে ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি জনগণকে রাস্তায় নেমে অভ্যুত্থান প্রতিহত করার ডাক দিলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান যখন ইস্তাম্বুলের কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এসে নামেন, হাওয়া পুরো ঘুরে গেলো। ভিডিও কল: সবাইকে রাস্তায় নামার ডাক দেন এরদোগান সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কড়া ভাষায় অভ্যুত্থানকারীদের দেখে নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন, বললেন, তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই। অনেকের কাছেই পরিস্কার হয়ে গেল যে, অভ্যুত্থানকারীরা ব্যর্থ হয়েছে, সিনিয়র সেনা অধিনায়করা সরকারের পক্ষেই আছে। আঙ্কারার নিয়ন্ত্রণ তখনো অভ্যুত্থানকারীদের হাতে। 
কিন্তু ইস্তাম্বুল তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মানুষ তখন ইস্তাম্বুল আর আঙ্কারার রাস্তায় নেমে এসেছে। বিমানবন্দরে যে সেনারা অবস্থান নিয়েছিল, তাদের ঘেরাও করে জনতা, পুরো বিমানবন্দর দখল করে নেয় তারা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি থেকে অভ্যুত্থানকারীরা বেশ কিছু ঘোষণা প্রচার করেছিল। তারা কারফিউ জারি করেছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর করতে তারা ব্যর্থ হয়। অভ্যুত্থানকারীদের নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ শিথিল হতে থাকে। কোনো কোনো খবরে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান যে হোটেলে ছিলেন সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ফলে সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। বিমানবন্দরে এরদোগান অভ্যুত্থানের পক্ষে সমর্থন অভ্যুত্থান সফল হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের দরকার ছিল। কয়েকটি বড় শহরে হয়তো অনেক সেনা সদস্য এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিল। অভ্যুত্থানকারীরা রাস্তায় অনেক ট্যাংক নামাতে পেরেছিল। তারা ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালীর ওপরের ব্রীজ বন্ধ করে দিতে পেরেছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল গুল হুলুসি আকার এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিলেন না। সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলে ছিল যে সেনা ডিভিশন, তার অধিনায়কও এই অভ্যুত্থান সমর্থন করেননি। নৌবাহিনী প্রধান এবং বিশেষ বাহিনীর প্রধানও অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেন। এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান থেকে অভ্যুত্থানকারীদের অবস্থানে বিমান হামলাও চালানো হয়। যুক্তরাজ্যের একটি থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজের ফাদি হাকুরা বলেন, এই অভ্যুত্থান আসলে শুরু হওয়ার আগেই ব্যর্থ হয়। এদের পেছনে না ছিল রাজনৈতিক সমর্থন, না ছিল জনগণের সমর্থন। তুরস্কের প্রধান দলগুলো শুরুতেই জানিয়ে দেয়া তারা এর সঙ্গে নেই। ধর্মনিরপেক্ষ সিএইচপি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি সবাই সরকারকে সমর্থন জানায়। বলা হয়, সেনাবাহিনীর একটি অংশ এই অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে। 
ইস্তাম্বুলেই মূলত তাদের ঘাঁটি। ফাদি হাকুরা মনে করেন, এরা সেনাবাহিনীর বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের ব্যর্থতা এটাও প্রমাণ করে যে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের পক্ষে আর সমাজের বেশিরভাগ অংশের কোনো সমর্থন নেই। এরদোগান এর আগে বহুবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার সরকার সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক শুদ্ধি অভিযানও চালিয়েছে।


 ★ইহুদী বিদ্বেষঃ এরদোগান প্রবল ইহুদী বিদ্বেষী। ১৯৭৪ সালে তার লেখা এক নাটকে তিন ইহুদীদের শয়তান বলে আখ্যা দেন।

 ★বৈবাহিক জীবণঃ এরদোগানে ১৯৭৮ সালে বিয়ে করেন। প্রায় ৪০ বছরের বৈবাহিক জীবনে দুই মেয়ে এবং দুই ছেলের বাবা হয়েছেন। তার স্ত্রীর নাম এমিনি এরদোগান। তিনি এবং তার স্ত্রী একসঙ্গে আছেন। 


★এরদোগান সম্পর্কে বিরূপ ধারণাঃ এরদোগানের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষ নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে। এরদোগান বলেছিলেন, নারীরা কখনই পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবে না। কারণ তাদের প্রকৃতি ভিন্ন।অনেকে বলেন প্রথম দিকে এরদোগান উগ্র জংগী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে সাপোর্ট দিয়েছেন। কিন্তু এরদোগান বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।যদিও এখন আইএস বিরোধী জোটে এখন এরদোগান অন্যতম নেতা।

 ★প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্ডমে বিজয়ীঃ এরদোগানের সাম্প্রতিকতম সাফল্য হলো প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্ডমে গণভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন।এর মাধ্যমে তিনি দেশের সর্বময় ক্ষমতা লাভ করেছেন।তিনি সহজেই দেশের যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।এই গণভোটে বিজয়ী হয়ে এরদোগান দেখিয়ে দিলেন, মোল্লার দৌড় কত দূর!

Read More




হাফিজুর রহমান (পিএইচডি)


 বাংলাদেশী যুবক হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে পাড়ি জমাতে হয় তুরস্কে।

 তুরস্কের আঙ্কারা অঞ্চলের গাজি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি প্রোগ্রামে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ‘আধুনিক যুগে রাষ্ট্র ধারণা এবং ইসলামি রাজনীতি’ বিষয় নিয়ে তাকে গবেষণাপত্রটি তৈরি করতে হয়েছিলো। সুতরাং হাফিজুর রহমানের আগ্রহের মূলবিন্দুতে যে বিশ্বরাজনীতি একটি বিশাল জায়গা দখল করে আছে তা সহজেই বোঝা যায়। 


তাই তার প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থটিও যে বিশ্বরাজনীতির কোনো তুখড় দিকনির্ধারণকারীকে নিয়ে হবে তা বোধগম্য। হাফিজুর রহমান (পিএইচডি) এর বই সমূহ মূলত তার তুরস্কে অবস্থানকালীন আহরিত জ্ঞান দ্বারা অণুপ্রাণিত।


 বিশেষত, তার প্রথম লেখাটিকে প্রভাবিত করেছিলো একটি সম্মেলন। তুরস্কে পৌঁছানোর এক মাসের মাঝে তুরস্কের নেতা এরদয়ানের একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি, যেখানে শত শত তরুণের সাথে হাফিজ নিজেও এরদোয়ানের বলশালী বক্তব্য শুনে মুগ্ধ এবং পরবর্তীতে প্রভাবিত হয়েছিলেন।


 উল্লেখ্য, হাফিজুর রহমান যে সময়ে তুরস্কে অবস্থান করছিলেন তখন তুরস্ক এরদোয়ানের নেতৃত্বে দিন দিন উন্নতির চূড়ায় পৌঁছাচ্ছিলো। তাই ২০১৬ সালের মে মাস থেকে টানা ২০ মাস হাফিজুর রহমান এরদোয়ানকে নিয়ে বিশ্লেষণ করে যান। অতঃপর ২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় বাংলা ভাষায় লেখা এরদোয়ানের জীবনী।


 হাফিজুর রহমান (পিএইচডি) এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘এরদোয়ান: দ্য চেঞ্জমেকার’ ও ‘আমার দেখা তুরস্ক: বিশ্বব্যবস্থার নতুন শক্তি তুর্কি জাতির ভেতর-বাহির’।



ঢাকা: এবারের একুশে বইমেলায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জীবনী নিয়ে লেখা তরুণ লেখক হাফিজুর রহমানের বই `এরদোয়ান দ্যা চেঞ্জ মেকার` প্রকাশিত হয়। অবাক করা বিষয় হলো বাংলা অক্ষরে লেখা সেই বইটি চলে গেছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হাতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গতকাল হাফিজুরের হাত থেকে বইটি গ্রহণ করেছেন। সেই দৃশ্য প্রচারিত হয়ে তুরস্কের অনেকগুলো টেলিভিশনে। গাজীপুরের এই তরুণকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে আলোচনা। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, একে পার্টির সিনিয়র নেতারা এবং সব এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।  হাফিজুর রহমান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু এই অসাধ্য কাজ একক প্রচেষ্টায় কীভাবে করলেন হাফিজুর? সেই প্রশ্ন যখন সবার মুখে তখন হাফিজুর নিজেই জানালেন দীর্ঘ এই গল্পটা। হাফিজুর বলেন, তুরস্কের  প্রেসিডেন্ট, যে মহান নেতাকে নিয়ে বইটি লেখা রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ানের হাতে বইটি তুলে দিচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্তু ছিল সেটি। আপনাদের সালাম ও ভালোবাসা পৌঁছে দিয়েছি। উনি অনেক খুশি হয়েছেন, ধন্যবাদ দিয়েছেন এবং আপনাদেরকে ভালোবাসা ও সালাম পৌঁছাতে বলেছেন। বইটি প্রকাশের পর বাংলাদেশি পাঠকদের আগ্রহ, আবেগ ও ভালোবাসা যতটুকু পেয়েছি সম্ভবত তার চেয়ে কোনও অংশেই কম ছিল না তুর্কিদের। যিনিই বইটি সম্পর্কে জেনেছেন তিনিই এতো বেশি খুশি হয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যেগুলোর বিস্তারিত লিখতে গেলে এই লেখা শেষ হবে না তাই পরবর্তীতে লিখবো। বই প্রকাশ হওয়ার পর সম্ভবত সবচেয়ে খুশি হয়েছিলেন তুরস্কের অন্যতম সিভিল সোসাইটি সংগঠন ইয়েনি দুনিয়া ভাকফির চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মাহমুদ গুকসু এবং আনকারা শাখার সভাপতি আলি তকুয কেননা আমি এই সংগঠনের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের সভাপতির দায়িত্বে আছি। তিনি বলেন, বই হাতে পাওয়ার পর আলি তকুয সাহেব এতটাই আপ্লুত ছিলেন যে, উনি পারলে সেদিনই প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিবেন! আমার অনেক আগে থেকেই একটি স্বপ্ন ছিল এরদোয়ানের জন্মদিন ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি, সেদিন ছোট্ট একটি উপহার হিসেবে হাতে তুলে দিবো। যদিও শুরু থেকেই একটা শঙ্কা ছিল, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মতো একজন মহান ও ব্যস্ত মানুষের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া কি আমার মতো একজন ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে? যাই হোকে, প্রেসিডেন্টের আফ্রিকা সফর থাকায় ২৬ ফেব্রুয়ারি তা আর সম্ভব হয়নি। এরপর অপেক্ষার পালা। মাহমুদ গুকসু সাহেব আর আলি তকুয সাহেব এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার বললেন যে, আগামী মঙ্গলবার হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। দেখা যাক। কিন্তু ওনাদের কথায় আমি খুব বেশি আশ্বস্ত হতে পারিনি। এর মাঝে শনি ও রোববার সরকারি ছুটি। তাই কাজ এগোয়নি। যদিও মাহমুদ সাহেব বলছিলেন আমি কথা বলে রেখেছি, সোমবারে সব ফাইনাল করবো হয়তো। সোমবার সকালে তুরস্কের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদপত্র সাবাহ পত্রিকার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ ছিল। সকাল ১১টায় বই নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনেক কথা বললাম সেই ইন্টারভিউতে। এরপর আরেকটি এপয়েন্টমেন্ট ছিল চাঁদের দূতাবাসে, ইয়েনি দুনিয়া ভাকফির পক্ষ থেকে মতবিনিময়। চাঁদ দূতাবাসে চমৎকার একটি সেশন শেষে উপরোক্ত দুজন, আরেকজন সাবেক এমপির সঙ্গে সংসদ ভবনের দিকে রওয়ানা দিলাম। সংসদ ভবনে গিয়ে সরাসরি একে পার্টির সংসদীয় দলের উপনেতার রুমে গেলাম। হাফিজুর বলেন, তখন একে পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপ পরিচালনা কমিটির মিটিং চলছিল যেখানে মঙ্গলবারের মিটিংয়ের এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মিটিং শেষ হয়। মাহমুদ সাহেব উপনেতার কাছে বইটি দিয়ে আগামীকালের অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়ার কথা বললেন। উপনেতা জানালেন, অধিবেশনের এজেন্ডার খসড়াগুলো আমরা তৈরি করি কিন্তু অনুমোদন করে দলের প্রেসিডিয়াম বডি। কিছুক্ষণ পরেই সেই মিটিং শুরু হবে, আমি সেখানে পেশ করবো, পাশ হলে আপনাদের জানাবো, আপনারা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে উনাদের সঙ্গে বন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলাম, সেখানে প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাকে বই গিফট করলাম। কিন্তু আমার পুরো মনোযোগ সংসদ ভবনের আপডেটের দিকে। সন্ধ্যায় উনারা আমাকে আমার বাসায় যাওয়ার স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে উনাদের কাজ কনটিনিউ করলেন। আমি হাতে থাকা সামান্য কাজ শেষ করে মাগরিবের নামাযের জন্য মসজিদে ঢুকবো এমন সময় মাহমুদ সাহেবের ফোন!খুশি মনে রিসিভ করলাম। কিন্তু না, এখনো শিউর না। বই নিয়ে তুর্কি ভাষায় ছোট্ট সামারি করে পাঠাতে বললেন। পাঠিয়ে নামায শেষে বাসে উঠলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাফিজুর উল্লেখ করেন, আমার বাসা আনকারার (আঙ্কারা) এক প্রান্তে তাই মোটামুটি ঘণ্টাখানেক সময় লাগে সেন্টারে আসতে। বাসে উঠলে এমনিতেই পথ শেষ হতে চায় না। কিন্ত সেদিন পথিমধ্যে নামতে হলো, যেখানে এক বন্ধুর সাথে চা পানে শরিক হলাম। এমন সময় মাহমুদ সাহেবের পরবর্তী ফোন, এবার শিউর্। আগামীকাল সকাল ৮.৩০ টায় একসঙ্গে হবো এরপর রওয়ানা দিবো। আমি আলহামদুলিল্লাহ পড়লাম। উনি আরও বললেন, সঙ্গে সর্বোচ্চ ১০ জন যাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে আমরা পাঁচজন মুরুব্বী যাবো আর তুমি, তোমার সহকর্মীদের মধ্য থেকে মোট পাঁচজন ঠিক করো। কিছুটা বেকায়দায় পড়ে গেলাম । কাকে রেখে কাকে নিবো! সবাইতো প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ, তাও এতো কাছ থেকে দেখার সুযোগ। অবশেষে ইয়েনি দুনিয়া ভাকফিতে দায়িত্ব পালন করা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশ থেকে চারজন প্রিয় সহকর্মীকে ঠিক করলাম। অবর্ণনীয় অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বন্ধুর সঙ্গে চা পর্ব শেষে বাসে উঠলাম কিন্তু পথ আর শেষ হয় না, কেমন যেন এক ফিলিংস। বাসায় পৌঁছলাম। আমার মেয়েটা দুদিন ধরে অসুস্ত। তার সঙ্গে ও পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় দিলাম। এরপর ঘুমাতে গেলাম কিন্তু রাতে ঠিকমতো ঘুম হলো না। কিছুক্ষণ পরপর জেগে যাই! সেই এক অপেক্ষা! ইয়েনি দুনিয়া ভাকফিতে সকালে একত্রিত হয়ে কিছু কাজ শেষে সাড়ে নয়টার দিকে রওয়ানা দিলাম। দশটার দিকে সংসদ ভবনে পৌঁছলাম। প্রয়োজনীয় প্রোটেকলের কাজ শেষ করে অধিবেশন রুমে গেলাম। ততক্ষণে কানায় কানায় পূর্ণ অধিবেশন কক্ষ বিশেষ করে ভিজিটরস গ্যালারি, তিল ধরার ঠাই নেই। কোনওমতে জায়গা পেলাম। ভিজিটরস গ্যালারির স্টেজের কোণের গেটের কাছে অবস্থান নিয়ে এবার ফাইনাল অপেক্ষা শুরু। একে একে এমপিরা, মন্ত্রীরা আসলেন। সবাই প্রেসিডেন্টের আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উল্লেখ করে হাফিজুর বলেন, এরদোয়ান, সকাল সাড়ে এগারটার দিকে অধিবেশন কক্ষে ঢুকলেন। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদিরিম। স্পিকার গ্রুপ মিটিং শুরু করলেন। তিনি বলেন, বক্তব্য চলা অবস্থায় প্রেসিডেন্টের প্রটোকল অফিসাররা বারবার এসে খবর নিয়ে যাচ্ছেন। অনুরোধ করছেন যেন বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই স্টেজের কাছাকাছি চলে আসি। গ্রুপ স্পিকারের টেবিলে এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার বইটি দেখতে পেলাম। সব মিলে নিজের মধ্যে খুবই এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। টান টান এক উত্তেজনা। সাড়ে বারোটার দিকে প্রেসিডেন্ট বক্তব্য শেষ করলেন আর ততক্ষণে প্রটোকল অফিসার আমাদেরকে স্টেজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। বক্তব্য শেষে ধন্যবাদ দিয়েই স্পিকার আমাদের স্টেজে ডাকলেন। প্রেসিডেন্ট স্পিকারের এনাউন্সমেন্ট শুনে আমার দিকে তাকালেন। আমি এগিয়ে গেলাম। উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর কোলাকুলি করলেন। একে একে সঙ্গে থাকা সহকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিলাম-নিজেরা পরিচিত হলেন। এদিকে মিডিয়ার ক্যামেরাগুলো আমাদের দিকে তাক করে আছে, সব টিভিতে লাইভ চলছে। প্রেসিডেন্টের হাতে বইটি তুলে দিলাম। আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষ হলো। উনাকে ধন্যবাদ দিলাম। এরপর বইয়ের ভেতরে কি আছে তার কিছুটা বর্ণনা করলাম। বই লিখার কারণ বর্ণনা করলাম যে,  প্রেসিডেন্ট আপনি প্রায়ই বলেন ভালোবাসা একপক্ষ থেকে নয় বরং দুপক্ষ থেকে হতে হয়। আপনি আজকে মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসেবে মজলুমদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিন, আরাকানসহ সব মজলুমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন, সবাইকে ভালোবাসছেন। আর তাই আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট এই ভালোবাসা। এরদোয়ানের সঙ্গে কথাবার্তা প্রসঙ্গে বলেন, উনি অনেক খুশি হলেন। ধন্যবাদ জানালেন, অভিনন্দন জানালেন। বললেন, তোমাকে আমি অনুরোধ করছি যতদ্রুত সম্ভব এটার তুর্কি ভার্সন করবা (যাতে আমরা পড়তে পারি), এরপর পারলে আরবি ও ইংরেজিতে অনুবাদ করবা। এরপর আমি বইটা বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় হয়েছে তা তুলে ধরে পাঠকদের ভালোবাসা ও সালামগুলো পৌঁছালাম। উনি সালাম গ্রহণ করে সবাইকে সালাম জানালেন। পরিবারের খোঁজখবর নিলেন। আমার ওয়াইফও তুরস্কে সেটা জেনে আরও খুশি হলেন। দোয়া করলেন। এরপর বললাম আপনার সঙ্গে সিঙ্গেল ছবি তুলতে পারলে খুশি হবো। উনি সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হলেন। এতক্ষণে বই উনার পিএস সেখান থেকে তুলে নিয়েছেন। আমি আর বই খুঁজে পাচ্ছি না। বই খুঁজতেছি এদিকে দেখি উনি হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। নিজেকে অপরাধী মনে হলো। সামলে নিয়ে দ্রুত হাত মিলালাম, কতক্ষণ ক্যামেরাগুলো ক্লিক করলো। ইতিমধ্যে বই হাতে চলে আসলো, এরপর বই নিয়ে আবার ক্লিক। হাফিজুর বলেন, সবশেষে আমরা উনাকে এই বিশাল সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম।
 (হাফিজুর রহমানের ফেসবুক থেকে নেওয়া।)





 

OUR FACEBOOK GROUP LINK  click here

Groups | Facebook


OUR FACEBOOK PAGE LINK click here 


Pages | Facebook


নিচে এই বই টির ডাউনলোড করার দুইটি লিঙ্ক আছে এবং প্রিভিউ লিঙ্ক ও আছে

কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবেন নিচে আমার ফেসবুক আইডি এর লিঙ্ক দেওয়া আছে.. যদি কোনো ভুল হয় ভুলের জন্য ক্ষমা করবেন

Previous Post
Next Post

post written by:

Siddikur Rahman Rayhan from Bangladesh is a versatile individual with a keen interest in technology, cricket, politics, and Islamic studies. With a strong academic background and proficiency in multiple languages, he excels in blogging, YouTube, web development, Graphix Design and content creation. Skilled in video editing, meme generation, and photography, Rayhan is dedicated to personal and professional growth, seeking connections with like-minded individuals to support his endeavors.

0 Comments: